Thursday, August 22, 2013

“শাহ্ পরীরদ্বীপ” এখন সাগর তলে !


কক্সবাজার জেলার টেকনাফের শিল্প ও পর্যটন এলাকা বিখ্যাত শাহ্‌ পরীরদ্বীপরক্ষার্থে অবশেষে স্থানীয় নেতা-কর্মী  এবং জনস্বাধারণ একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে এক কাতারে দাঁড়িয়েছেন। নিজস্ব অর্থায়ন ও সবার নিরঙ্কুশ সাহায্য সহযোগীতার মধ্যদিয়ে ফসলি জমিসহ দ্বীপ রক্ষার কাজে নেমেছেন তারা।স্থানীয় জনগনের সাহায্যে ভাঙ্গা বেড়ি-বাঁধের পূনঃনির্মাণের কাজ আরম্ভ করেছেন।এতে করে লাখ-লাখ টাকা আয়ের উৎস লবণের মাঠ ও ফসলি জমিও বঙ্গ-উপসাগরের মারাত্নক করাল গ্রাস থেকে রক্ষিত হবে বলে স্থানীয় লোক-জনের আশা। সাগরের অব্যাহত ভাঙনে জোয়ারের পানি ডুকে পড়ে এলাকার তিন-চতুর্তংশে, ফলে শত শত একরের ফসলি জমি লবণাক্ত পানিতে প্লাবিত হয়ে চাষ-অযোগ্য হয়ে যায়।অবশেষে কৃষকদের মারত্মকভাবে ক্ষতির ভার কাঁধে নিতে হয়। সাগরের এই জল মানুষের বসত বাড়িকে পর্যন্ত বাসের অনুপযোগী করে ছাড়ে।



 এই প্রেক্ষিতে ফসলি জমি রক্ষা ও লবণাক্ত পানি যাতে কৃষি জমিতে এবং মানুষের বসত ভিটায় অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেই জন্য "শাহ্পরীর দ্বীপ রক্ষা ও উন্নয়ন পরিষদ" এর উদ্যেগে শাহপরীর দ্বীপ ক্যাম্প পাড়ার দক্ষিণ অংশ হতে পশ্চিম উত্তর পাড়া হয়ে প্রধান সড়ক পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।এই নির্মাণ কাজের লগ্ন হয় গত ১১ আগস্ট ২০১২ । 
বাঁধ পূণঃনির্মাণ কাজের উদ্যোগী সভার উদ্ভোধনীতে অনুস্ঠানেস্থল থেকে অল্প সরেজমিনে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন "শাহপরীর দ্বীপ রক্ষা ও উন্নয়ন পরিষদ" এর সভাপতি মাস্টার জাহেদ হোসেন সহ, সভাপতি মনির উল্লাহ , সহ সভাপতি মোহাম্মদ সাঈদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাকারিয়া আলফাজ ও সদস্য মুজিব উল্লাহ। উল্লেখ্য এ বাঁধ পূনঃ নির্মাণের ফলে এখন জোয়ারের পানি সল্প পরিমাণে প্রবেশ করলেও অনেকাংশে বাঁধের বাইরেই থাকবে বলে স্থানীয় ও বিশিস্ট জনেরা মনে করছেন। তাই কৃষক সহ সর্বস্তরের মানুষ এই বাঁধ পূনঃ নির্মাণের জন্য "শাহপরীর দ্বীপ রক্ষা ও উন্নয়ন পরিষদ" কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন, এবং সবাইকে যে কোন ভাবে সহযেগীতার হাত বাড়িয়ে দ্বীপ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
তবে; দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় এই যে, বর্তমান সরকার এই নিয়ে কোন উদ্যোগই নেইনি বল্লে চলে!!!


  • আমি "শাহ্ পরীর দ্বীপ" এর যত সন্তান বাহিরে বা দুরে থাকেন আপনাদের উদ্দেশ্যে শুধুমাএ্র একটি কথাই বলব যে, দয়া করে আপনারা আপনাদের জন্মস্থানকে রক্ষা করতে একটু হলেও মনযোগ দিন, তাহলে পরে আমাদের আর কারো ধারে হাত পাতাতে হবেনা।
  • মহান আল্লাহ আমাদের জন্মভুমিকে রক্ষা করুন।[আমীন,সুম্মা আমীন]।